অষ্টম হিজরিতে নবীজি

মুতারযুদ্ধ

মুতাসিরিয়ার বালকাশহরের সন্নিকটে বাইতুল মুকাদ্দাস হতে প্রায় দুই মনযিল দূরত্বে অবস্থিতএকটি স্থানের নাম।এখানেই মুসলমান এবংরোমানদের মাঝে প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়;রোম-সম্রাটের পক্ষে বসরার শাসনকর্তাআমর ইবনে শুরাহবিল নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দূত হযরত হারেস ইবনে উমায়ের রাযিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যার বদলায় এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো।

৮ম হিজরির মাঝামঝিতে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন হাজার সাহাবার একটি বাহিনীকে সেদিকে প্রেরণকরেন।যখন মুসলিম-বাহিনী মুতার নিকট পৌঁছুলো, রোমানরা তখন দেড় লক্ষ সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে তাঁদের মোকাবেলায় প্রস্তুত হয়ে আছে।কয়েকদিন যুদ্ধের পর হযরত খালেদ বিন ওলিদ রাযিয়াল্লাহু আনহুর রণকৌশলে রোম-বাহিনী বিভ্রান্ত হয়।যুদ্ধে মুসলিমদের মারমুখি দাপট ও বুদ্ধির কৌশলেপিছুহটা ব্যতীত প্রাণ বাঁচানোর জন্য রোমকদের আর কোনো পথ ছিলো না।

তায়েফ যুদ্ধ

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনি সাকিফ ও হাওয়াযিন গোত্রেরপ্রাণকেন্দ্র তায়েফের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেন।প্রায় ১৮ দিন পর্যন্ত গোত্রের লোকদের অবরোধকরে রাখলেন,কিন্তু বিজয়অর্জিত হলো না।সুতরাং অবরোধ তুলে দিয়েতিনি সেখান থেকে ফিরে আসতে লাগলেন।পথিমধ্যে জিরান নামক স্থানে তায়েফ হতে হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধিদল নবীজির খেদমতে এসে উপস্থিত হলো এবং হুনাইন যুদ্ধে তাদের যেসব লোক বন্দি হয়েছিলো, তাদেরকে প্রত্যার্পণ করার আবেদন জানালো।নবীজিতাদের আবেদন মঞ্জুর করে তাদের বন্দীদেরকে প্রত্যার্পণ করলেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামমদিনায়এসে পৌঁছালে, তায়েফবাসীদেরএকটি প্রতিনিধিদল নবীজির খেদমতে উপস্থিত হয়েস্বেচ্ছায়ইসলাম গ্রহণ করলো।

জিরানারওমরা

হুনাইন যুদ্ধের পরজিরানা নামক স্থানে অবস্থানকালে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওমরা পালনের ইচ্ছা করেন এবং ইহরান বেঁধে মক্কা আগমন করেন।ওমরা আদায়ের পর পবিত্র মদিনায়ফিরে যান।

তথ্যসূত্র :আর-রাহিকুল মাখতুম, সফিউর রহমান মোবারকপুরি;সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, মুফতি শফি।