মনযূরুল হক
আরব জাতি যাদের মধ্যে পৌত্তলিক, ইহুদি, খৃষ্টান, সাবাঈ, জ্ঞানপুজারী সবই ছিল, এসব জাতি ও গোত্রের পারস্পরিক যুদ্ধ, সংঘাত ও বিবাদ নিরসন করে একটি শান্তি ও নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আসা চাট্টিখানি বিষয় নয়। মিথ্যুকে যত মিথ্যাই প্রচার করুক, যত প্রচারনাই চালাক কিন্তু বাস্তব ঘটনা হচ্ছে দশ লক্ষ বর্গমাইলের বিস্তৃত ভূখণ্ডে যেখানে কৃষকেরা দখলদারিত্ব চালিয়েছিল, সেখানে নবীজির স. সুদীর্ঘ দশ বছরের অবিরাম চেষ্টা ও সাধনাকালে উভয় পক্ষের প্রানহানির পরিমাণ সংখ্যায় কোটি বা লাখ নয়, এমনকি দু হাজার চার হাজারও হয় নি। আজকাল নিউইয়র্ক ও লন্ডনের সড়ক ও রাজপথ সমূহে প্রতিদিন যত লোক গাড়ির চাকার তলে পড়ে পিষ্ট হয় সে পরিমাণও নয়। অথবা হিন্দুস্তানের সাধারন কোনো দাঙ্গায় লাশের যে বহর পড়ে সে পরিমাণও নয়। বরং সব মিলিয়ে এ দীর্ঘ সময়ে মাত্র আঠারশ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এই হলো একজন খুনী (!) পয়গাম্বরের খুনের ফিরিস্তি। [1.(আন-নাবিয়্যুল খাতিম, পৃষ্ঠা ২৫)]
আঠারশ সংখ্যার মধ্যে ওই শহিদ শিক্ষকরাও অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে নজদবাসী তাদের দেশে ওয়াজ-নসিহত এবং শিক্ষা প্রসারের জন্য আহবান করেছিল। তারা সেখানে পৌঁছার পর ‘মাওনা’ নামক কুপের কাছে সত্তরজনকে শহীদ করে দেয়া হয়। এ সংখ্যায় ওই দশজন ধর্মপ্রচারক মুবাল্লিগরাও অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে ‘রযী’ নামক স্থানে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহিদ করা হয়।
আজ ‘মৃত্যু উপত্যকা’ নাম দিয়ে দুনিয়াব্যাপী প্রোপাগাণ্ডা চালানো হচ্ছে, যেখানে বনি কুরাইজার সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল। অথচ সেখানে অনিবার্যভাবে বনী কুরাইজার ওই ইহুদিদের খোদ তাদের কিতাব ও শরিয়তের আলোকে এবং তাদের প্রচলিত আইনের ভিত্তিতে প্রানদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিন লাখ লোকের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে যে বিশ্বযুদ্ধে, সেখানে যদি ইহুদিদের ষড়যন্ত্র ও ইন্ধনের কথা স্বীকৃত হয় তাহলে ওই সময়ে ইহুদিদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা অমূলক বলা যাবে কি? আমরা পর্যায়ক্রমে পুরো বিষয়টিই তুলে ধরার চেষ্টা করব।
বনি কুরাইজার সন্ধিভঙ্গকরণ
নবীজি যখন মদিনায় আগমন করেছিলেন, তখন তিনি মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে এমন একটি চুক্তিপত্র লিখিয়ে ছিলেন, যেখানে ইহুদিদের নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিা। তাদের সঙ্গেও একটি চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছিল; যেখানে তাদের ধর্ম ও সম্পদ-সম্পত্তির সুরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়। এই চুক্তিপত্রের বিশেষ বিশেষ হলো— “ইহুদিদের মধ্যে যারা আমাদের সঙ্গ দেবে, তাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সাম্যের আচরণ করা হবে। তাদের ওপর অবিচার করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য দেয়া হবে না। মদিনার কোনো মুশরিক কোরাইশের ধন-প্রাণকে আশ্রয় দেবে না, কোনো মুমিনকে রুখতেও বুক পেতে দেবে না। ইহুদিরা যুদ্ধে যতদিন শরিক থাকবে, মুসলিমদের মতো তার সকল ব্যয় বহন করবে। ইহুদিদের বিভিন্ন গোত্র (এই চুক্তিপত্রে অন্যান্য ইহুদি গোত্রের নাম ছিলো- বনি আওফ, বনি সায়িদা) মুসলিমদের সঙ্গে একজাতির মতো বসবাস করবে। ইহুদিদের নিজস্ব ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকবে, মুসলিমদেরও থাকবে নিজ ধর্মের ক্ষেত্রে। তারা তাদের অধীন ক্রীতদাস ও নিজস্ব বিষয়-আশয়ে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাধীন থাকবে।” [2.(নবীয়ে রহমত, পৃষ্ঠা ২৬৭)]
তাতে এটাও ছিলো, এই চুক্তিপত্র ও লিখিত অঙ্গীকারের বিবেচনায় যুদ্ধকালে পরস্পরকে সহযোগিতা করা তাদের ওপর আবশ্যক হবে। বৈধ বিষয়াবলি ও খোদায়ি আনুগত্যের সীমার মধ্যে থেকে হিতকামনা, ঐকান্তিকতা ও সমঝোতার মানসিকতা রাখতে হবে। ইয়াসরিবের ওপর আগ্রাসন হলে তবে তারা সমান অংশীদার হয়ে তার মোকাবেলা করবে। [3.(সিরাতে ইবনে হিশাম, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৫০৩-৫০৪)] কিন্তু বনি নাযিরের নেতা হুয়াই বিন আখতাব ইহুদি মুসলিমদের সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ এবং কোরাইশের সঙ্গে একতাবদ্ধতা ও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে বনি কুরাইজাকে প্রস্তুত করে ফেলে। অথচ তাদের নেতা কাব বিন আসাদ কুরজি বলেছিল— আমি মুহাম্মাদের মধ্যে সততা ও বিশ্বস্ততা ছাড়া কিছু দেখি নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাব বিন আসাদ নিজের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে এবং তার ও রসুলের মধ্যে যা কিছু সিদ্ধান্ত ছিল, তা থেকে নিজেকে মুক্ত করে নেয়। [4.(নবীয়ে রহমত, পৃষ্ঠা ২৭০)]
নবীজি যখন তাদের চুক্তি ভঙ্গের সংবাদ পান, তখন আওসের নেতা সাদ বিন মুয়াযকে রা. খাযরাজের নেতা সাদ বিন উবাদাকে রা. আনসারদের কয়েকজনের সঙ্গে এই সংবাদ যাচাইয়ের জন্য পাঠালেন। আওস ছিল বনি কুরাইজার মিত্র। তারা সেখানে গিয়ে খোঁজ নিলেন এবং যতটুকু শুনেছিলেন তার চেয়ে আরো খারাপ অবস্থা পেলেন। তারা নবীজি স. সম্পর্কে অশোভন শব্দ ব্যবহার করে এবং তিক্ত ভাষায় বলতে থাকে— কেমন আল্লাহর রসুল? আমাদের ও মুহাম্মাদের মধ্যে কোনো চুক্তি-প্রত্যয় নেই।[5. (সিরাতে ইবনে হিশাম, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২২০-২২৩)]
তারা যুদ্ধের জন্যে রীতিমতো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে এবং মুসলিমদের পিঠে পেছন থেকে ছুরি গেঁথে দিতে চাইছিল। এমনকি কুরআনও বলছে— “যখন তারা তোমাদের ওপর আক্রমণোদ্যত হয়েছিলো উচ্চভূমি ও নি¤œভূমি থেকে।” [6.(সূরা আহযাব, আয়াত ১০)]
বনিকুরাইজায় অভিযান
নবীজি স. বনি কোরাইজায় পৌঁছে তাদের অবরোধ করেন, যা লাগাতার পঁচিশ দিন ও রাত ধরে চলে। অবশেষে তারা এই অবরোধের কারণে সঙ্কটাপন্ন হয়ে ওঠে। [7.(সিরাতে ইবনে হিশাম, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৫)] বনি কুরাইজা নবীজিকে বার্তা পাঠায়— আপনি আমাদের কাছে বনি আমর বিন আওফকে পাঠিয়ে দিন (তারা আওসের মিত্র ছিল), যেনো আমরা তার সঙ্গে নিজেদের ব্যাপারে পরামর্শ করতে পারি। তার সঙ্গে আলোচনা বিফল হয়। [8.(সিরাতে ইবনে হিশাম, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৬-২৩৮)]
অবশেষে বনি কুরাইজা নবীজির স. সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। কিন্তু আওসে লোকেরা কিছুটা দ্বিমত করলে নবীজি এ দায়িত্ব সাদ বিন মুয়াযের রা. হাতে তুলে দেন। ইহুদিরাও তার বিচার অকুণ্ঠচিত্তে মেনে নেয়। কেননা, তার গোত্রের সাথে বনি কুরাইজার পূর্ব থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিল, তিনি ছিলেন গোত্রের সর্দার। সাদ বিন মুয়ায রা. বললেন— ভাগ্যক্রমে সাদের হাতে এই সুযোগ এসেছে, আজ আসমানি নির্দেশের সামনে এক্ষণে সে কারো তিরস্কারের পরওয়া করবে না। আমি এই সিদ্ধান্ত দিচ্ছি, তাদের পুরুষদের হত্যা করা হোক, তাদের সম্পদ বিলিয়ে দেয়া হোক, শিশু ও নারীদের গোলাম বানানো হোক। নবীজি স. বললেন—তুমি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ফয়সালা করেছ। [9.(প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ২৩৯-২৪০)]
সুতরাং সে-মতেই দণ্ড কার্যকর করা হয়। নিহতদের সংখ্যা ছিল ৮০০; যারা সকলেই যুদ্ধবাজ সৈনিক। [10.(ইবনে আসিরের ‘কামিল’, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১২৭)]
কয়েকজন সমকালীন লেখক মদিনার মতো ছোট শহর ও নবির স. দয়ার্দ্র্য চরিতের প্রেক্ষিতে ঐতিহাসিক দলিলপত্র বাদ দিয়ে অনুমানের ওপর নির্ভর করেছেন। তাই সংখ্যাটা অসম্ভব রকমের ফেনিয়েছেন তারা। [11.(ড. বারাকাত আহমাদ, Muhammad & The Jews)] এ ঘটনা সম্পর্কে ইহুদি রেফারেন্সগুলোও নীরব থেকেছে।
ইসরায়েলি বিধান অনুযায়ী সাজা
এই ফয়সালা ইসরায়েলি শরিয়তের সামরিক বিধি মোতাবেকও ছিল বটে। কেননা, তাওরাতের ১১-১২-১৩ বাণীতে আছে— “যখন তুমি কোনো শহরের কাছে এসে পৌঁছবে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে, তবে প্রথমে তাকে সন্ধির বার্তা দাও। তাতে এমন হবে, যদি সে তোমার কথায় সাড়া দেয় যে, সন্ধিতে রাজি এবং দরোজা তোমার জন্য খুলে দেয়, তবে সমস্ত সৃষ্টি, যা সেই শহরে পাওয়া যাবে, তোমাকে বিনীত কর দেবে এবং তোমার সেবা করবে। আর যদি সে তোমার সঙ্গে সন্ধি না করে, বরং তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তবে তা অবরোধ করো। এরপর যখন তোমার প্রভু তা তোমার হস্তগত করে দেবেন, তখন সেখানকার প্রত্যেক পুরুষকে তরবারির আঘাতে হত্যা করো; কিন্তু নারী, শিশু-কিশোর ও গৃহপালিত পশুগুলোকে এবং যা কিছু সেই শহরে থাকবে সব কাড়িত সম্পদ তোমার জন্যে নিয়ে নেবে।” [11.(বিবরণ পুস্তক, অধ্যায় ২০, বাণী ১-১৪, পবিত্র গ্রন্থ, বাইবেল সোসাইটি, ১৮৮২ সন)]
বনি ইসরাঈলের মধ্যে প্রাচীনকালে এটাই প্রচলিত ছিলো। তাওরাতে এসেছে— “তারা মাদয়ানবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলো, যেমনটি প্রভু মুসাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন; এবং সকল পুরুষকে হত্যা করল। আর তারা সেই সব নিহত লোক ছাড়াও ইবি, রাকিম, সূর, হূর ও রাবেকে, যারা মাদয়ানের পাঁচ বাদশা ছিল, তাদেরও হত্যা করলো। বায়ুরের ছেলে বালয়ামকেও তরবারি দিয়ে হত্যা করল। আর বনি ইসরায়েলের লোকেরা মাদয়ানের সকল নারী ও তাদের শিশুদের বন্দি করল এবং তাদের পশুগুলো, ভেড়া-বকরি ও আসবাবপত্র সবকিছু নিয়ে নিল। আর তাদের সব শহর, যাতে তারা থাকত এবং তাদের সব দুর্গ জ্বালিয়ে দিল।” [12.(সংখ্যা পুস্তক, অধ্যায় ৩১, বাণী ৭-১০, পবিত্র গ্রন্থ, বাইবেল সোসাইটি, ১৮৮৩ সন)]
মুসার আ. আমলে এই বিধান অনুযায়ী কাজ করা হতো এবং এ ব্যাপারে তিনি অনুমোদন ও সমর্থন লাভ করেছিলেন। তাওরাতে আছে— “তখন মুসা, আল-আযির গণক ও দলের সব নেতা তাদের স্বাগত জানাতে তাবুর বাইরে গেলেন। আর মুসা বাহিনীর সেনানায়কদের ওপর, আর তাদের ওপর; যারা সহ¯্রলোকের নেতা ছিলেন, আর তাদের ওপর; যরা শত শত লোকের নেতা ছিলেন, যারা যুদ্ধ করে এসেছে, ক্রুদ্ধ হলেন। আর তাদের বললেন, তোমরা কি সকল নারীকে জীবিত রেখেছ?” [13.(প্রাগুক্ত, বাণী ১৩-১৪-১৫)]
অমুসলিম পণ্ডিতদের বিচারিক দৃষ্টিকোণ
আর.ভি.সি. বোদলে এই ঘটনার ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে লিখেছেন— “মুহাম্মাদ স. আরবের সে দেশে একা ছিলেন। এই দেশটি আয়তনের বিচারে মার্কিন যুক্তরাষ্টের তিনভাগের একভাগ এবং এর জনবসতি পঞ্চাশ লাখ। তাদের কাছে এমন বাহিনীও ছিল না, যা লোকজনকে আদেশ পালন ও আনুগত্যের জন্যে বাধ্য করতে পারে; শুধু একটিমাত্র সংক্ষিপ্ত সেনাদল ছাড়া, যার সৈন্যসংখ্যা ছিলো তিন হাজার। এই সেনাদলও সম্পূর্ণ অস্ত্রসজ্জিত ছিল না। এদিক বিবেচনায় মুহাম্মাদ যদি এক্ষেত্রে শৈথিল্য ও উদাসীনতার প্রশ্রয় দিতেন এবং বনি কুরাইজাকে তাদের চুক্তিভঙ্গের কারণে কোনোরূপ শাস্তি দেওয়া ছাড়াই ছেড়ে দিতেন, তবে জাযিরাতুল আরবে ইসলামের টিকে থাকা দুষ্কর হতো। সন্দেহ নেই যে, ইহুদিদের হত্যার বিষয়টি বেশ কঠোর ছিল। কিন্তু এটা ধর্মের ইতিহাসে কোনো আজনবি ও নতুন ঘটনা ছিল না এবং মুসলিমদের প্রেক্ষাপটে এ কাজের পূর্ণ বৈধতা বিদ্যমান ছিল। এর ফলে অন্যান্য আরব গোত্র ও ইহুদি গোষ্ঠী কোনোরূপ চুক্তিভঙ্গ ও বিশ্বাসঘাতকতা করার পূর্বে বারবার ভাবতে বাধ্য হয়। কেননা, তারা এর করুণ পরিণতি দেখে নিয়েছিল, নিজ চোখে চাক্ষুস করেছিল, মুাহম্মাদ তার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার শক্তি রাখেন। [14.(‘দ্য মেসেঞ্জার : দ্য লাইফ অব মুহাম্মাদ, লন্ডন ১৯৪৬, পৃষ্ঠা ২২০)]
স্যার স্ট্যানলি লেনপুল লিখছেন— “এটা স্মরণ রাখা উচিত যে, তাদের অপরাধ ছিল রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা এবং তা-ও একটি অবরোধের মধ্যবর্তী সময়ে। যারা ইতিহাসে এটা পড়েছে যে, ওয়েলিংটনের সেনাদল যে পথ ধরে যেত, তাকে চিনিয়ে দিত পলাতক সৈন্য ও লুটেরাদের লাশগুলো; যেগুলো গাছে ঝুলানো থাকত—সেখানে তাদের একটি বিশ্বাসঘাতক গোত্রের লোকদের একটি সাধারণ সিদ্ধান্তর বিচারে হত্যা করা নিয়ে আশ্চর্য হওয়া অসঙ্গত। [15.(Selection From The Koran Indro. P. LXV)]
ড. ইসরাঈল অলফিনসন বনি কুরাইজা যুদ্ধ পর্যালোচনা করতে গিয়ে সেই বাস্তবতার স্বীকারোক্তি এমন শব্দে দিয়েছেন— মোনাফেকদের সম্পর্ক যদ্দূর, তাতে বনি কোরাইজা যুদ্ধের পর তাদের আওয়াজ স্তিমিত হয়ে আসে এবং এরপর তাদের কথা ও কাজে এমন কিছু প্রকাশ পায় নি, যা নবীজি স. ও তার সাহাবিদের সিদ্ধান্তের বিপরীত হবে; যেমনটি এর আগে সম্ভাবনা ছিল। [16.(‘আল-ইয়াহূদ ফি বিলাদিল আরব’, পৃষ্ঠা ১৫৫।)]