খাদিজা (রাঃ) এর ব্যবসায়ী কাফেলার দায়িত্ব, সাথে গোলাম মাইসারা
২৫ বছর বয়সে খাদিজা রাঃ এর ব্যবসায়িক দায়িত্ব নিয়ে রসূল (সাঃ ) সিরিয়ায় যান। খাদিজা রাঃ তার গোলাম মাইসারাকেও সাথে পাঠান। এই সফর থেকে রসূল (সাঃ) বিপুল লাভের সাথে ফিরে আসেন। সিরিয়ায় নাস্তুরা নামক এক পাদ্রী রসূল (সাঃ) চিনে ফেলেন। তবে এই যাত্রায় নবীজির কোন ক্ষতি হয়নি।
হিলফুল ফুজুলে অংশগ্রহণ
ফুজ্জার যুদ্ধের অনিষ্ট থেকে বাচার জন্য এবং অসহায়দের সাহায্যের জন্য রসূলের চাচা যুবারের একটি সংগঠনের আহবান করেন। যার নাম রাখা হয় হিলফুল ফুজুল। এতে রসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও অংশগ্রহণ করেন।
হারবে ফুজ্জারে অংশগ্রহণ
১৫ বছর বয়সে রসূল (সাঃ) এই যুদ্ধে চাচাদের জন্য অংশগ্রহণ করেন। এটি মূলত কুরাইশ ও কায়েস গোত্রের মাঝে হয়েছিল। পরে উভয় পক্ষ সন্ধি করে নেয়।
আবু তালেবের সাথে সিরিয়া সফর (বাহীরা পাদ্রীর সাথে সাক্ষাৎ)
১২ বছর বয়সে চাচা আবু তালেবের সাথে নবীজি সিরিয়ার পথে রওনা হন। পথে বসারার কাছে জারজীস ( উচ্চারণগুলো একটু তাহকিক করবেন ) নামক গির্জা অতিক্রম কালে সেখানকার পাদ্রী তাকে শেষ নবী হিসেবে চিনে ফেলেন এবং রোমানদের হত্যার আশঙ্কায় রসূলকে সিরিয়ায় যাতে বাধা দেন। তাই আবু তালিব রসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্ল
দ্বিতীয় বক্ষ বিদারণ
১০ বছর বয়সে রসূল (সাঃ) কে মাঠে থাকা অবস্থায় দুজন এসে শোয়ান এবং তার বুক চিরে ভেতর থেক হৃৎপিণ্ড বের করে তা থেকে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দয়া-অনুগ্রহ ঢুকিয়ে দেন।
দাদার মৃত্যু, চাচার প্রতিপালন
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বয়স যখন ৮ বছর হল তখন দাদা ইন্তিকাল করেন। এর পর থেকে চাচা প্রতিপালন করেন।
মাতার মৃত্যু, দাদার প্রতিপালন
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বয়স যখন ৬ বছর হল তখন মাতা ইন্তিকাল করেন। এর পর থেকে দাদা প্রতিপালন করেন।
হালিমা (রাঃ) এর রসূলকে তাঁর মায়ের কাছে ফেরত দান
হালিমা (রাঃ) শিশু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্ষ বিদারণের ঘটনাতে শঙ্কিত হয়ে তাকে তাঁর মায়ের কাছে ফেরত দেন।
প্রথম বক্ষ বিদারণ
রসূল ( সাঃ ) দুধভাই আব্দুল্লাহর সাথে মাঠে খেলছিলেন। এমন সময় সাদা পোশাকে দুজন লোক (জিব্রাঈল ও মিকাইল আঃ) তাকে ধরে পেট চিরে কি যেন বের করেন এবং তা ধুয়ে পুনরায় পেটের ভেতরে রেখে দেন।
শিশু মুহাম্মদের প্রতিপালনে দুধ-মা হালিমার দায়িত্ব-গ্রহণ
আরবের প্রথা অনুযায়ী দুধ পান করানোর জন্য বনু সাদ ইবনে বকরের হালিমা (রাঃ) তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।